ছাগীর হিটে আসার কিছু আলোচনা🐐
#ছাগীর হিটে আসা ও কিছু কথাঃ
#সাধারণত গবাদী প্রাণীর বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন বয়সে গর্ভধারণ করার যোগ্যতা অর্জন করে।ছাগল- ৬-১০ মাস এবং ভেড়ার ক্ষেত্রে ৭-১০ মাস। বয়সে প্রজনন বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়। তবে এই সময়ের পরেও কিছু সময় লাগতে পারে তা প্রাণীর দেহের গঠনের উপর এবং সরবরাহ কৃত পুষ্টির উপর। সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টি পেলে দ্রুত প্রজণনক্ষম হয়ে উঠে। এই সময়ের পুর্বে যদি ছাগী হীটে আসে তাহলে তাকে বীজ বা ব্রীড করানো ঠিক নয় । এতে করে পরবর্তী সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রজনন সফলতা নির্ভর করে থাকে মানুষের তথা মালিকের সচেতনতার উপর। কারণ কিছু ধরাবাধা নিয়ম বা প্রতিবন্ধকতার কারণে গৃহপালিত প্রাণী তার নিজের প্রয়োজন পুরা করতে পারেনা, যেমন পারে বন্য প্রাণিরা।
এক্ষেত্রে ছাগীর ডাকে আসা বা হীটে আসা নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। শুধু তাই ই নয় সঠিক সময়ে তাকে পাঠার কাছে নিতে বা কৃত্তিম বীজ দিতে হবে নতুবা তা কার্যকরী হবেনা। ছাগীর ডিম্ব সে সময় পর্যন্ত বেচে থাকে তার মধ্যে যদি স্পার্ম এসে মিলিত হতে না পারে তাহলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। সাধারণত স্পার্ম কৃত্রিম ভাবে সিমেন দেয়া হলে ৪-৮ ঘন্টা বাচে কম বেশিও হতে পারে এবং পাঠা দেখানোর ফলে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর্যন্ত গাভীর প্রজননতন্ত্রের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে।
এজন্য উপযুক্ত সময় হল, ছাগীর হিট দেখার পরে ১২ ঘন্টার পর থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে বীজ দিতে হবে। এটার ফলে বীজ দেখার পর ইনফান্ডিবুলেমে যেতে প্রায় ৪-৮ ঘন্টা সময় লাগবে অন্যদিকে ডিম্বকে আসতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে ।
তার ফলশ্রুতিতে স্পার্ম ও ওভামের মিলনের ফলে ছাগীর বাচ্চা ধারণ করতে সমস্যা হবে না।
#সিমেনের সমস্যাঃ ত্রুটি পূর্ণ পাঠা দিয়ে যদি গাভীকে প্রজণন করার চেষ্টা করা হয় তাহলেও গাভীর প্রজণন ব্যবহত হয়। পাঠা দেয়ার পরেও আবার সে হীটে আসে বা গরম হয় । এর কয়েকটি কারণ হতে পারে-।
অস্বাভাবিক স্পার্মঃ প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করতে হলে স্পার্কে অবশ্যই হতে হবে মোটাইল (গতিশীল), সঠিক আকৃতি ও গঠনের। কিছু সমস্যা দেখা যায় কিছু পাঠার স্পার্মের সেক্ষেত্রে হতে পারে তা, দুইটা মাথা, দুইটা লেজ, বাকানো লেজ, মোটা ঘাড় ইত্যাদি। স্পার্মের প্রতিটি অংশই নিজ নিজে কাজে সফল হওয়ায় মাধ্যমে জাইগোটে পরিণত হয়।
শুক্রানুর সংখ্যা যদি কম থাকে। প্রতি মিলি সিমেনে কমপক্ষে ১-১.৫ মিলিয়ন হতে হবে (কম বেশি হতে পারে)যার মধ্যে কেবল মাত্র একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারবে।
পাঠা যদি কোন রোগে আক্রান্ত থাকে বিশেষ করে ব্রুসেলোলিস (ইৎঁপবষষড়ংরং), ট্রাইকোমোনাস ফিটাস (ঞৎরপযড়সড়হধং ভবঃঁং), ক্যামফাইলো ব্যকটেরিয়া ফিটাস (পধসঢ়যুষড়নধপঃবৎ ভবঃঁং) রোগে। তাহলে বীজের মাধ্যমে তা ছাগীতে এবং বাচ্চাতে সংক্রামিত হয়ে থাকে। যার ফলে গাভীর প্রজনন সমস্যা সহ গর্ভপাত হতে পারে।
#লক্ষণঃ সাধারণত একবার বীজ দেখানোর পরে এক মাস পরে আবার ছাগী গরম হয়। পাশপাশি সিমেন প্রয়োগ করার পরে ছাগীর যোনি থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যেতে পারে।
ছাগী দেখতে সুস্থ তার পরেও বীজ দেয়ার পরে গর্ভ ধারণের কোন বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়না।
সিমেন দেয়ার পরেও আবার হীটে আসে ছাগীর পরের ইস্ট্রাস (ঊং:ৎড়ঁং পুপষব) চক্রে। তখন তাকে আবার সিমেন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
#রোগ নির্নয়ঃ
স খামারীর কাছে সঠিক ভাবে তার পূর্বের ইতিহাস জানলে বোঝা যায় সহজে।
স সঠিকভাবে রেক্টাল পালপেশন করে জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের অবস্থা পর্যাবেক্ষণ করা।
সমাধানঃ
প্রথম একবার দেখার পর আসল কারণ জানা কঠিন হয়ে পরে। তাই তখন এক মাস অপেক্ষা করার পর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তারকে দেখাতে হবে। তিনি রেকটাল ঢ়ধষঢ়ধঃরড়হ মাধ্যমে ভিতরে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবেন। আবার গরম হওয়ার পরে ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে দ্বিতীয় বার সিমেন প্রয়োগ করবেন।
বেশি ছাগী থাকলে একজন ছাগীর হিটে আসা না আসা লক্ষ্য করলে ভাল হয়। প্রত্যেহ সকালে ছাগীর অবস্থা দেখে তা নির্ণয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে প্রধান বৈশিষ্ট হল-
যোনিপথ দ্বারা মিউকাস পড়তে দেখা যাবে, একটা ছাগী অন্য ছাগীর উপর লাফ দিয়ে উঠবে। ছাগী খাওয়া বন্ধ করে চিৎকার করতে থাকবে। আর গরম দেখার প্রায় ১২ ঘন্টা পরে ষাড় বা সিমেন প্রয়োগ করতে হবে।
সিমেন প্রয়োগের সময় ১ ডোজ জি এন আর এইচ ইঞ্জেকশন করা যেতে পারে। তাহলে কন্সেপশান রেট ভাল থাকে।
ছাগীর হিটে আসার পর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের সাথে সাক্ষাত করে পরামর্শ গ্রহণ করা।
ছাগী বা গাভীর ক্ষেত্রে সাধারণত হিটে আসে খুব সকালে সেক্ষেত্রে তাকে সিমেন প্রয়োগ করাতে হবে শেষ বিকাল বেলা না হলে সন্ধ্যাবেলা। আর যদি সন্ধার সময় গরম হয় তাহলে পরদিন সকালে বীজ দিতে হবে। প্রয়োজনে দুইবার এ আই (অৎঃরপরভরধষ ওঘংবসরহধঃরড়হ) করলে কনসেপসন (পড়হপবঢ়ঃরড়হ) হার বেশি থাকে। অভিজ্ঞ টেকনেশিয়ান দ্বারা বীজ দিয়ে নিতে হবে।(সমপাদনাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,সংযোজন এম এ ইসলাম)
রিপিট ব্রিডিং (জবঢ়বধঃ ইৎববফরহম)
বাংলাদেশের ছাগী বা গাভী গুলোর মধ্যে আরো একটই সমস্যা হল পুনঃ পুনঃ গরম হওয়া। একে বলা হয় রিপিট ব্রিডিং (জবঢ়বধঃ নৎববফরহম ) এই ছাগী/গাভী আপাতত দৃষ্টিতে কোন রোগে আক্রান্ত বলে মনে হয়না। প্রথম একটা বা দুইটা বাচ্চাও দিয়েছিল আগে। কিন্তু বর্তমানে তা আর গর্ভ ধারণ করছেনা। পর পর তিন বার বীজ দেখানোর পরেও আবার হিটে আসে। বাংলাদেশের ১৩-২২ শতাংশ ও ভারতে ১৯-২১ শতাংশ গাভী এবং মহিষ গাভী প্রায় ৬.৪৮ শতাংশ রিপিট ব্রিডার হিসেবে চিহ্নিত আছে (পশু চিকিৎসা বিদ্যা, প্রফেসর ডঃ আব্দুস সামাদ)( ছবি গোটওয়ালা কল্যাণ)(চলবে)
#অাদর্শ ছাগল পালন গাইডটা নতুন করে যারা বুকিং দিতে চান তাহলে ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক ডাকবাংলা বাজার শাখায়,A/C নং-৭০১৭০১৩৮৩৩৯৫৬ মোঃ আমিরুল ইসলাম-এ্; ডাক খরচ সহ ৩০০/=(তিনশত টাকা মাত্র)ডাচ বাংলা ব্যাঙ্ক এর বাংলাদেশের যে কোন শাখায় জমা দিন অথবা বিকাশ করুন। প্রকাশক ও সম্পাদক= পারসোনাল বিকাশ ০১৭১১৩৯৮৬৫১/-৩০০/= পাঠিয়ে দিন।ইনবক্সে ঠিকানা দিয়ে দেন।যদি ডাক খরচ নিজে বহন করেন তাহলে ২৫০ আর না করলে ৩০০টাকা।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত 🌷
আমার একটা ছাগি আছে, অনেক বড় হইছে কিন্তু এখনো ডাকেনা,কি করা যায় একটু বলবেন। আর ডাকবে কিনা তাও জানিনা। প্রথম কত মাসে ডাকে।
ReplyDelete