গাভীর নাম  স্বপ্নের রানী

        গাভীর নাম  স্বপ্নের রানী

অনেকে হয়তো ভাববেন রানী হয় মহিলারা, কিন্তু গরু রানী হয় কি ভাবে.??

হ্যাঁ এই রানী মানুষ রানী নয়, এই রানী ডেইরী খামারিদের জন্য রানী।আর এই রানীকে আপনার রাজমহলে কেউ এনে দিয়ে যাবে না। কারণ রানীর রাজা হওয়া সকল খামারীর লোভ।আজকে কথা বলো এই রানীকে গিড়ে।

যারা ডেইরী খামারে অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ন তাদের সাথে মাঠ পর্যায় কথা বলে এটা জিনিস বুঝলাম যে ভালো দুধের রানী কেউ হাত ছাড়া করে না। যদি না ঐ ব্যক্তিটি বিপদে না পরে। এখন কথা হলো এই বিপদের অপেক্ষায় আপনি আমি বসে থাকলে চলবে..??

না চলবে না, ঐ খামারী যদি অধিক দুধের রানী তৈরি করতে পারে তবে আপনি কেন পারবেন না..? মূল কথা হলো আপনি আমি এই বিষয় মাথা খাটাই না।এই বিষয়টা নিয়ে পড়াশুনা করি না, যানার আগ্রহ সৃস্টিও করি না, কিভাবে হবে এই রানী.? এ,আইকে অন্ধের মত বিশ্বাস করি, সেও তার মনগড়া মতো সিমেন পুষ করে চলে গেল।এর পর আবার গাভীটি রিপিট হীটে আসে আবার তাকে বিশ্বাস করি সেও তার ঝোলার মরা শুক্রনু বীজ স্থাপন করে ৫০০/১০০০ নিয়ে খুশিতে বাকবাকুম হয়ে ব্যাগটা কাঁদে নিয়ে বাড়ি চলে যায়।

তবে হ্যাঁ আপনি যদি স্টেপ বাই স্টেপ জাত উন্নয়ন করে যান, তাহলে আপনার কাঙ্খিত অধিক দুধের রানীকে হাতে পেতে তৃতীয় জেনারেশই পাওয়া সম্ভব।
এখানে আপনি দুইটি পন্থা অবলম্ভন করতে পারেন।

১| দুই জাতের সংকরায়নঃ দ্বিজাতের সংকরায়ন এর মধ্যে শুধু গরুর চেহার প্রতিফলন হয় না।সকল দিক থেকে এর বৈশিষ্ঠ্য উল্লেখ করার মতো হবে।এই ব্যাপারে মূল সুত্র হলো মিলনের ক্ষেত্রে ষাঁড় ও গাভীর দুটোই ভালো জাতের এবং সেই সঙ্গে আলাদা শ্রেনীভুক্ত হতে হবে।এই ভাবে জাতোউন্নয়ন করলে বাছুরের স্বাস্থ্য অত্যন্ত সুগঠিত হয়।গাভীর যেমন দৈহিক আঁকাড় আকৃতি ভালো হবে,দুধ দেওয়ার ক্ষমতাও হবে অনেক বেশি।কিন্তু ভালো জাত নিবার্চন করা গুরুত্বপূর্ন বিষয়।আপনাকে আগে খুজে বেড় করতে হবে সেই জাতটি ও অপর জাতটি।

২| এক জাত সংকরায়ানঃএই ক্ষেত্রে একই জাতের ষাঁড় ও গাভীর নিবার্চন করতে হবে।এটি হচ্ছে বিশুদ্ধ প্রজনন,একই জাতের উন্নত পশু প্রজনন করে হবে। এটাকে বলা হয় ইংরেজিতে পিওড় ব্রিডীং।কিন্তু একটা বিষয় এই ক্ষেত্রে মাথা রাখা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয় হচ্ছে ইনব্রিডীং যাতে না হয়। মানে রক্তের সাথে যাতে কোন অবস্তাতেই রক্তের মিলন প্রজনন না ঘটে।এই বিষয় অন্য আরেক দিন আলোচনা করবো।

এখানে যে দুইটা পদ্ধিতে জাতোউন্নয়ন এর কথা বলা হয়েছে,সেই ক্ষেত্রে অব্যশই খামারীকে সতর্কতার সঙ্গে গাভী ও ষাঁড় গরুর সিমেন নিবার্চন করতে হবে।যেমনঃদুধ উৎপাদনের রেকর্ড,রোগ বালাই ইত্যাদি।

আসলে এই বিষয়গুলো নতুনদের কাছে একটু কঠিন মনে হলেও পড়াশুনা ও মাঠ পর্যায় যখন অভিজ্ঞ হবেন তখন ক্লীয়ার হবে।ক্লাশের ফাস্ট বয় এর গুণাগুণ শুধু পড়াশুনা দিয়ে হয় না,তার দৈহিক আচার আচরণ একটা বিষয় কাজ করে এখানে। তাই পড়াশুনার পাশাপাশি যানার আগ্রহ তৈরি করুন দেখবেন অনেক কঠিক জিনিসও সহজ হবে।

No comments

Powered by Blogger.